মধু
মধু তে রয়েছে প্রায় ৪৫ টি খাদ্য উপাদান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ মন্টোজ,অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ, এনজাইম, আয়োডিন, জিঙ্ক, কপার, এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬। মধুতে কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই।মধুর মূল উপাদান হচ্ছে পানি, শর্করা বা চিনি, এসিড, খনিজ, আমিষ ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন।মধু সহজেই পরিপাক হয়। মধুর ক্যালরি উৎপাদনক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। প্রতি কেজি মধুতে ৩১৫৪ থেকে ৩৩৫০ ক্যালরি পরিমাণ শক্তি থাকে।
মধুর কিছু উপকারিতা
- উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ভালো মানের মধুতে ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হতে পারে।
- সর্দি জ্বর উপশমে : সর্দি-কাশি, জ্বর উপশমের তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ: প্রতিদিন নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- শিশুর মানসিক বিকাশ: শীতকালে নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর দেহের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ভালো হয়।
- রক্তশূন্যতায়: মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।
- ত্বকের জন্য: মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ মধুর মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের রং সুন্দর করতে এবং তারুণ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি: যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মধু সাহায্য করে। শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা দূর করতে মধু বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- পানিশূন্যতায়: ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
- অনিদ্রা জনিত সমস্যায়: নিয়মিত রাতে মধু খেলে গভীর ঘুম হয়। ফলে অনিদ্রোজন তো সমস্যা দূর হয়।
- এছাড়াও মধুতে রয়েছে আরো হাজারো উপকারিতা
Reviews
There are no reviews yet.